Esthetician Blog
Esthetician blog, discover interesting & useful information on skin care, anti-aging, beauty tips, product reviews, and many more. Have questions about skin care, acne treatment, anti-aging, products and more? Find your answers here! and explore our popular services.
পোষ্য কুকুর বা বিড়াল কমবেশি অনেকেরই থাকে
কমবেশি অনেকেরই পোষ্য কুকুর বা বিড়াল থাকে। এই পোষ্য কুকুর-বিড়ালের লোম থেকে আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়। এই ধারণাটি আসলে ভুল। আসলে কুকুর-বিড়ালের লোম কোনো অ্যালার্জেন নয়, তবে পোষ্যের লোমে বিভিন্ন অ্যালার্জেন থাকে যেমন- ধূলাবালি, পোষ্যের মলমূত্র, লালা ও পোষ্যের মৃতকোষ। পোষ্য না হলেও রাস্তায় থাকা মৃত পশুপাখির কাছাকাছি গেলেও অ্যালার্জি হতে পারে।
এই ধরণের এলার্জিগুলোর লক্ষণ হলো হাঁচি ও শ্বাসকষ্ট। এর প্রতিকার বেশ সহজ। আপনার প্রিয় পোষ্য কুকুর বা বিড়াল কে সবসময় পরিষ্কার স্থানে রাখুন ও নিয়মিত গোসল করিয়ে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে শুকিয়ে পোষ্যকে স্যাতস্যাতে ভাব হতে দূরে রেখে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দূরে থাকুন!
বিড়াল-কুকুরকে গোসল করান সপ্তাহে একবার। ওদের জন্য বিশেষ শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়, সেটি ব্যবহার করুন। শীতের সময় মাসখানেকের ব্যবধানে গোসল করালেও ক্ষতি নেই।
মারাত্মক রোগের হাত থেকে মুক্ত রাখতে আপনার বিড়ালটিকে টিকা দিন। এটি কঠিন কোনো কাজ নয়। পেশাদার কোনো ব্যক্তির সাহায্য নিন ভ্যাকসিন দিতে। কোনো রোগের জন্য বাসার কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করবেন না। বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রনে বাসায় তৈরি কোনো প্রতিষেধকের প্রয়োগে আপনার বিড়ালের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিড়ালকে ভ্যাকসিন দিন।
পোষাপ্রাণী দ্বারা কোন এলার্জিক প্রবলেম হলে আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গুল-ই-জান্নাতের পরামর্শ নেওয়ার জন্যে পেজে ইনবক্স করুন।
ট্রিটমেন্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুন-
𝟎𝟏𝟕𝟎𝟒𝟏𝟕𝟑𝟏𝟕𝟖, 𝟎𝟏𝟕𝟎𝟒𝟏𝟕𝟑𝟏𝟕𝟗
নিজের সৌন্দর্য্যকে আরো একধাপ এগিয়ে নিন
নিজের সৌন্দর্য্যকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে কিছু অন্যরকম টিপস –
১. নিজেকে আয়নায় দেখুন। আপনি সুন্দর। আপনার সৌন্দর্য্যকে আরো কিভাবে ফুটিয়ে তুললে আরো ভালো লাগবে, তা ভাবুন। সেটা অবশ্যই আপনার মন মত হতে হবে। সবাই কিভাবে দেখলে আপনার ভালো লাগবে, তা মাথা থেকে ঝেড়ে, আপনি নিজেকে কিভাবে দেখতে চান, তা নির্নয় করুন।
২. স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ার নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন টিপস দেখেই তা তখনই এপ্লাই না করে, যেসব উপাদান দিয়ে সাজেস্ট করা হচ্ছে, সেসকল উপাদানগুলো নিয়ে জানার চেষ্টা করুন। নিজের ত্বক ও চুল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।
৩. আপনি কি খান প্রতিদিন, বা কি কি খাওয়া পরে বেশি, তার লিস্ট করে দেখুন তার নিউট্রিশন ভ্যালু কতুটুকু আর সেগুলো আপনাকে আসলে কি দিচ্ছে। এরপর নেক্সট স্টেপে যাবেন। আমাদের ধারবাহিক প্রতিবেদনটিতে চোখ রাখবেন।
৪. আপনি কেমন মানুষদের সাথে আছেন, কিরকম ভাবে আপনি সবার সাথে ব্যবহার করছেন, এটাও আপনার সৌন্দর্য্যের অনেক বড় একটা পার্ট। এদিকটাতেও লক্ষ্য করুন। এবং সুন্দর ব্যবহার ও ধৈর্য্যের সাথে সকল সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগ দিন, এটা আপনার সকল দুয়া ও প্রার্থনাকে সুন্দর করবে এবং সেই সাথে আপনাকেও।
ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব এটি। চোখ রাখুন আমাদের সকল অনলাইন প্লাটফর্মে
নিজের সৌন্দর্য্যকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গুল-ই-জান্নাতের পরামর্শ নেওয়ার জন্যে পেজে ইনবক্স করুন।
বিস্তারিত জানতে কল করুন-
𝟎𝟏𝟕𝟎𝟒𝟏𝟕𝟑𝟏𝟕𝟖, 𝟎𝟏𝟕𝟎𝟒𝟏𝟕𝟑𝟏𝟕𝟗
গহনায় যে অ্যালার্জি হয় এতে অবাক হবার কিছু নেই
গহনায় যে অ্যালার্জি হয় এতে অবাক হবার কিছু নেই । আমার মতো অনেকেই আছেন এই অ্যালার্জি- এর ভুক্তভোগী । খুব কষ্ট হয় যখন পছন্দের কোনো গহনা অ্যালার্জি-এর কারণে ব্যবহার করা যায় না । আসলে একে নিকেল অ্যালার্জি (Nickel allergy) বলা হয়। পিওর গোল্ড বা সিলভারের সাথে নিকেল বা অন্যান্য ধাতু মিশিয়ে বা প্রলেপ দিয়ে এইসব গহনা তৈরি করা হয় । এতে করে দাম কমে। আর যাদের শরীর নিকেল বা অন্যান্য ধাতু অ্যালার্জেন হিসেবে সনাক্ত করে তাদের ক্ষেত্রেই জুয়েলারি অ্যালার্জি হবার প্রবণতা দেখা যায়। তবে সমীক্ষা অনুযায়ী, ত্বকের ৪ ধরনের অ্যালার্জি নিয়ে যে বললাম এগুলোর মধ্যে জুয়েলারি অ্যালার্জি মেয়েদের সবচেয়ে বেশি হয়।
জুয়েলারি বা নিকেল অ্যালার্জি হলে জুয়েলারির সংস্পর্শ পাওয়া জায়গায় জুয়েলারি পরার সাথে সাথে না হলেও ১৫-২০ মিনিট পরে বা ১-২ দিনের মধ্যে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। সেখানে র্যাশ উঠে চুলকানি, পানি ফোটা বা ত্বক চাকা হয়ে ফুলে যেতে পারে। অনেক সময় ভয়াবহভাবে ইনফেকশন হতে পারে। জুয়েলারি অ্যালার্জি থেকে পরিত্রাণ পাবার সহজ উপায় হলো নিকেল সমৃদ্ধ জুয়েলারি বা গহনা এড়িয়ে চলা। সিলভার অ্যালয় বা হোয়াইট গোল্ড অ্যালয়-এর জুয়েলারি পরতে পারেন।
গোল্ড আর সিলভারে কেন অ্যালার্জি হয় না? জানেন নিশ্চয়ই, তাও আবার বলছি, গোল্ড ও সিলভার হলো অ্যান্টিসেপ্টিক!
জুয়েলারি বা নিকেল অ্যালার্জি হলে আমাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গুল-ই-জান্নাতের পরামর্শ নেওয়ার জন্যে পেজে ইনবক্স করুন।
ট্রিটমেন্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুন-
𝟎𝟏𝟕𝟎𝟒𝟏𝟕𝟑𝟏𝟕𝟖, 𝟎𝟏𝟕𝟎𝟒𝟏𝟕𝟑𝟏𝟕𝟗
মিনিকেট নামে কোন ধান চাষ হয়না বাংলাদেশে
বাঁচতে হলে জানতে হবে। মিনিকেট চালের ভাত গরমকালেও অনেকক্ষণ ভালো থাকে! আহারে! কত ভালো চাল! তাইনা?
আসুন জেনে নিই আসলেই কি আমরা ভালো চাল খাচ্ছি?নাকি আবর্জনা?
মিনিকেট নামে কোন ধান চাষ হয়না বাংলাদেশে।
তাহলে, এই চাল বাজারে আসে কোথা থেকে- এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ, মিনিকেট চাল তৈরী হয় কারখানায়।
দেশী জাতের ধান (মোটা চালের) চালকলে আসার পর শুরু হয় তেলেসমাতি। প্রথমে ধানের খোসা ছাড়ান হয়। খোসা ছাড়ানোর পর চালের অকৃত্রিম/ন্যাচারাল রঙে কিছুটা খয়েরি/বাদামি আভা থাকে। এরপর কেমিক্যাল ও হোয়াইটনার মেশিনের মাধ্যমে চালের খয়েরি/বাদামি আভার আবরণটিকে আলাদা করা হয়। এই আবরণটি বাদ দেওয়ার পর চাল কিছুটা সরু ও সাদা হয়। এখানেই শেষ নয়, পলিশার মেশিনের মাধ্যমে পলিশ করলেই হয়ে গেল মিনিকেট চাল।
এবার প্রশ্নের তীর তাক করে কেউ বলতেই পারেন- মোটা চালকে এতোভাবে প্রসেস করে মিনিকেট বানালে তো চাল ব্যবসায়ীর ক্ষতি।
এবার ক্ষতির হিসেবটা করা যাক- ১০০০কেজি মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানালে সাধারণত চাল পাওয়া যায় ৯৩৩কেজি, সাদা খুদ ২৬.৫ কেজি, কালো খুদ ১৪কেজি, মরা চাল ৪.৫ কেজি, ময়লা ০.৭৫ কেজি এবং পলিশ ২৭ কেজি। যোগ করলে দেখা যায় এক হাজার কেজি চাল প্রসেস করার পর পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ৬কেজি বেশী।
এই ছয় কেজি হচ্ছে জলীয় বাষ্প ও পানি। রাইস ব্রান তেল কারখানাগুলো পলিশ কিনে নেয়, সাদা খুদ বাজারে চালের অর্ধেক দামে বিক্রি হয়। কালো খুদ আর মরা চাল পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি হয়। ভাবছেন চাল প্রসেসের খরচ কত? ১০০০কেজি মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানাতে খরচ হয় মাত্র ৯০০টাকা হতে ১৫০০টাকা। অর্থাৎ কেজিপ্রতি ৯০পয়সা থেকে দেড় টাকা।
মোটা চাল প্রসেস করে মিনিকেট বানিয়ে বিক্রেতা একটু বেশী লাভ করলে ক্রেতার ক্ষতি কি?
ছোট ক্ষতি হচ্ছে ক্রেতা চিকন চালের দামে মোটা চাল কিনছেন, অর্থাৎ কেজিতে ১৫থেকে ২০টাকা পর্যন্ত ঠকছেন। বড় ক্ষতি হলো কেজিতে ১৫ থেকে ২০টাকা বেশী দিয়ে মিনিকেট চাল নয়, ক্রেতা কিনছেন মোটা চালের আবর্জনা। কারণ, প্রসেস করার মাধ্যমে চালের উপরি আবরণ (bran অর্থাৎ pericarp, seed coat, aleurone layer, embryo) বা পুষ্টিকর অংশ বাদ দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, চালের সর্বমোট ৮৫ ভাগ ভিটামিন B3 থাকে pericarp–এ, প্রোটিন আর ফ্যাট থাকে Aleurone layer -এ, খনিজের ৫১ ভাগ ও মোট আঁশের ৮০ ভাগ থাকে bran –এ, ভিটামিন B1 ও ভিটামিন E থাকে embryo -তে। চালের সব পুষ্টিকর উপাদান তেলের মিলে বিক্রির জন্য প্রসেস করে আলাদা করার পর চাল আর চাল থাকেনা, হয়ে যায় চালের আবর্জনা।
মিনিকেট চাল নামে চালের আবর্জনাকে যতোটা ক্ষতিকর মনে করছেন বাস্তবে আরও বেশী ক্ষতিকর। মোটা চালকে মিনিকেটে রূপান্তর করার বিভিন্ন পর্যায়ে সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড, সোডিয়াম হাইড্রোক্লোরাইড + টুথপেস্ট +এরারুটের মিশ্রণ, সোয়াবিন তেল, ফিটকারি, বরিক পাউডার ব্যবহার করা হয়। প্রতি মৌসুমেই বের হয় নিত্য নতুন কৌশল।
মিনিকেট চালে কখনো পোকা ধরেনা। কারণ পোকাও জানে এই চাল খাওয়ার যোগ্য নয়, এতে পুষ্টিগুণ নেই।
অথচ দেখতে সুন্দর এই অখাদ্যকে আমি আপনি আমাদের পরিবার কে নিশ্চিন্তে খাওয়াচ্ছি এবং নিজেরাও খাচ্ছি!
কিন্তু কেন!?
শুধু চাল নয়, এমন আরও হাজারো অখাদ্য, আবর্জনা আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে যাচ্ছি জেনে- না জেনে । আর তার ফলাফল স্বরূপ ভুগতে হচ্ছে কঠিন কঠিন রোগে সেই সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছি এক ভয়াবহ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনব্যবস্থা!
হিসেব টা মেলানো খুবই সহজ, বাড়িতে কোনো মুরব্বী থাকলে একটু জেনে নিতে হবে আগেকার দিনে তারা কেমন খাবার খেয়ে জীবন যাপন করেছে । আর তাদের রোগ বালাই কেমন ছিলো এবং তাদের চিকিৎসা-ই বা কেমন ছিলো ।
আজকের দিনে আমরা হাজারো নিত্য নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি আর নিত্য নতুন ঔষধ সেবন করে চলেছি । যা একটা রোগকে ঠিক করে আরো শত রোগের জন্ম দিচ্ছে আমাদের শরীরে । এ যেনো এক চোরাবালির মধ্যে ডুবে আছি আমরা ।
“সুস্বাস্থ্য যেমন সকল সুখের মূল,
ঠিক তেমন স্বাস্থ্যকর খাবার সুস্বাস্থের মূল।”